রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হবে: আদিলুর রহমান খান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের চাষিরা মাদকের অভয়ারণ্য লালমনিরহাট তারেক রহমানকে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন জুলাই অভ্যুত্থানের ৮ শহীদের স্মরনে দিনাজপুরে ৮ লক্ষ বৃক্ষরোপণ জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বিপুল উপস্থিতি চাঁদাবাজি বিরোধী অভিযানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
শিক্ষক উৎপল হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা গ্রেপ্তার

শিক্ষক উৎপল হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর স্টাম্পের আঘাতে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (৩৫) নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা উজ্জল হোসেনকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২৯ জুন) সকালে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা মামলার আসামি ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতুর বাবা উজ্জল হোসেনকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আজ ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি জিতুকেও গ্রেপ্তারে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক এমদাদুল হক বলেন, ওই শিক্ষক মারা যাওয়ার দিন গত রোববার তার বড় ভাই অসীম কুমার সরকার অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতুকে প্রধান করে হত্যা মামলা করেছেন। এজাহারে অজ্ঞাতনামা অনেককেই আসামি হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন। ওই মামলায় প্রধান আসামির বাবাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত শনিবার দুপুরে সাভারের চিত্রশাইল এলাকার হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে কলেজের প্রভাষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র জিতুর বিরুদ্ধে। পিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়া শিক্ষক উৎপল মারা পরদিন মারা যান। এই ঘটনায় উৎপলের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার আশুলিয়া থানায় জিতুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনের নামে হত্যা মামলা করেন।

জিতুর দশম শ্রেণিতে পড়লেও তার বয়স ১৯ বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, এই তরুণ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। সেখান থেকে ঝরে পড়ার পর এই স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন।

কলেজের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, জিতু ক্লাস নাইনে আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছিল। এর আগে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার একটা মাদ্রাসায় পড়ত। সে ছাত্র হিসেবে খুবই দুর্বল প্রকৃতির। উচ্ছৃঙ্খলও। তার বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়েরও অভিযোগ ছিল।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com